হ্যাকিং কি? হ্যাকিং কত প্রকার ও কি কি? What is Hacking?
হ্যাকিং এর প্রকারভেদ |
বর্তমান এ আধুনিক বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। প্রতিনিয়তই আমরা যেকোনো কিছুর সম্বন্ধে জানার জন্য ইন্টারনেট এর ব্যাবহার করে থাকি। ফলে আমরা যেকোনো কিছুর সম্বন্ধে তৎক্ষণাৎ জানতে পারি। এর আগের চ্যাপ্টারে বলেছিলাম এই ইন্টারনেট জগতেও আমাদের সাবধান ও সতর্ক হয়ে চলা লাগবে। নতুবা যেকোনো মুহূর্তে আমরা ইন্টারনেট জগতেও আক্রমণের শিকার হয়ে বিপদে পড়ে যেতে পারি। আজ সে সম্পর্কে আলোচনা করবো।
ইন্টারনেট জগতে এসব আক্রমণকে বলা হয়ে থাকে হ্যাকিং (Hacking)। হ্যাকিং সাধারণত দুই ধরণের হয়ে থাকে।
- ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকিং (Black Hat Hacking)
- হোয়াইট হ্যাট হ্যাকিং (White Hat Hacking)
- গ্রে হ্যাট হ্যাকিং (Gray Hat Hacking)
ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকিং (Black Hat Hacking): অনেক সময় আমরা খবরে বা অন্যান্য মাধ্যমে শুনতে পাই যে, বিভিন্ন ব্যাংক থেকে তাদের কম্পিউটার এর সব গোপন তথ্য বা ডাটাবেজ চুরি হয়ে গেছে। এছাড়াও শুনতে পাই, কারো জিমেইল আইডি, ফেসবুক, টুইটার ইত্যাদি থেকে ব্য নিজের গোপন তথ্য চুরি হয়ে সেটি থেকে অবৈধভাবে কাজ করতে দেখা যায়। এগুলো সব ব্যক্তির অনুমতি ব্যতিত নিজেদের লাভের আশায় এবং অন্যদের ক্ষতিসাধন করার আশায় একদল কুচক্র করে থাকে। এদেরকেই বলা হয় ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকার (Black Hat Hacker) বা আনইথিক্যাল হ্যাকার (Unethical hacker) এবং এদের এই অনৈতিক কাজকে বলা হয় ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকিং বা আনইথিক্যাল হ্যাকিং (Unethical Hacking)। অর্থাৎ আপনার অনুমতি ছাড়া যদি কেউ আপনার পার্সোনাল একাউন্টে প্রবেশ করে তাহলে বুঝবেন আপনি ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকিং এর আক্রমণের শিকার হয়েছেন।
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকিং (White Hat Hacking): ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা যেমন আমাদের ইন্টারনেট জগতে আক্রমণের শিকার করে বা করার চেষ্টা করে, ঠিক তেমনি তাদেরকে প্রতিহত করার জন্য এবং তাদের আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করার জন্য একদল নীতিবান সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিষ্ট (Cyber security specialist) রা ইন্টারনেট বা অনলাইন দুনিয়ায় আমাদের নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। তারা মানুষের অনুমতি নিয়ে তাদের একাউন্টে ঢুকে সেটির সিকিউরিটি বাড়িয়ে পুনরায় সেই ব্যক্তির কাছে হস্তান্তর করে দেয়। যার ফলে পরবর্তীতে ব্ল্যাক হ্যাট হ্যাকাররা সেই লোকের কোনো পার্সোনাল একাউন্টে ঢুকে তার গোপন তথ্য হাতিয়ে নিতে না পারে। এটিও এক ধরণের হ্যাকিং কিন্তু এটিকে বলা হয় ইথিক্যাল হ্যাকিং (Ethical Hacking)। এদেরকে বলা হয় হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার (White Hat Hacker) বা ইথিক্যাল হ্যাকার (Ethical Hacker) এবং এদের এই নীতিবান কাজকে বলা হয় হোয়াইট হ্যাট হ্যাকিং (White Hat Hacking)।
গ্রে হ্যাট হ্যাকিং (Gray Hat Hacking): ব্ল্যাক হ্যাট ও হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার ছাড়াও আরেক ধরণের হ্যাকার রয়েছে যাদের বলা হয় গ্রে হ্যাট হ্যাকার (Gray Hat Hacker)। এরা একেক সময় একেক ধরণের হ্যাকিং করে থাকে। অর্থাৎ এরা ইন্টারনেট দুনিয়ায় কখনো কখনো ভালো কাজ এবং কখনো কখনো মন্দ কাজ করে থাকে। অর্থাৎ এরা উভয় ধরণের হ্যাকিং করে থাকে। এদের এই কাজকেই মূলত বলা হয় গ্রে হ্যাট হ্যাকার (Gray Hat Hacker)।
হ্যাকিং বা সাইবার সিকুরিটি সম্বন্ধে আরো জ্ঞান লাভ করতে আমাদের সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment